প্রেস মিডিয়ার একটা ইজ্জত আছে , সংবাদমাধ‍্যম আমাদের অনেক খবর দিতে পারে : রাণীগঞ্জে বললেন মুখ‍্যমন্ত্রী

8th December 2020 8:40 pm বর্ধমান
প্রেস মিডিয়ার একটা ইজ্জত আছে , সংবাদমাধ‍্যম আমাদের অনেক খবর দিতে পারে : রাণীগঞ্জে বললেন মুখ‍্যমন্ত্রী


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) :  আসানসোলের রানিগঞ্জের সিয়ারশোল রাজবাড়ি ময়দানে পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রশাসনের সভায় সেখান থেকে আরো চড়া মেজাজে শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কয়লা মাফিয়া প্রসঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে সোমবারের উত্তরকন্যা অভিযানে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় এদিনের সভা থেকে সরাসরি নরেন্দ্র মোদির দলকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইভাবে রেলের বেসরকারিকরণ থেকে ইসিএলের কয়লাখনি বন্ধ, বিএসএনএল বন্ধ, ব্যাঙ্কের সদরদপ্তর বাংলা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। ৪০ মিনিটের ভাষণে তিনি আগাগোড়াই আক্রমনাত্বক ছিলেন । তৃনমুল কংগ্রেসের কৃষকদের এই আন্দোলনে ছিলো, আছে ও থাকবে। কৃষক আমাদের গর্ব। শ্রমিক আমাদের সম্পদ। আমরা সবসময় তাদের সঙ্গে আছি । এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, বিজেপি ঝড়ের বেগে কুৎসা ও অপপ্রচার করে। আমরা তা করিনা। আমরা ঝড়ের বেগে কাজ ও উন্নয়ন করি।মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় বলেন, এখন খুব কোল মাফিয়া কোল মাফিয়া বলছে। ইসিএলের কয়লাখনি বন্ধ করে দিচ্ছে আর এইসব বলে বেড়াচ্ছে। কোল মাফিয়ারা তো বিজেপির সঙ্গে আছে। কয়লা তো কেন্দ্র সরকারের। তারা কি করছে? কয়লাখনিতে তো সিআইএসএফ পাহারায় থাকে। তারা কি করে? সেটা তো রাজ্য সরকার বা রাজ্যের পুলিশ দেখেনা। নির্বাচনের সময় এলেই বিজেপি দলটা এইসব করে ও বলে বেড়ায়। তারপর আর তাদের দেখা যায় না। 
কেন্দ্র সরকার তো রুটি রোজকার বন্ধ করে দিচ্ছে। দেশ তো সবার। ঐ দলটা ভোটের সময় টাকা নিয়ে আসে আর সবাইকে দেয়। আপনারা কেউ তা নেবেন না।
আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডা, রাজ্য সরকারের হাউজিং বিভাগ ও জেলা প্রশাসন তা করছে। ফেজে ফেজে তা করা হবে। প্রথম ফেজে অন্ডাল, জামুড়িয়া ও বারাবনিতে ৯২৩২ জনকে দেওয়া হবে। এদিন ৩৫৮৪ জন পেলো। বাকিরা শীঘ্রই পেয়ে যাবে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু আবাসন তৈরী করলে তো হবেনা। সেখানে জল ও লাইটেরও ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, করোনার জন্য গত কয়েক মাস তো সব বন্ধ ছিলো।  আমরা সরকারে আসার পরে এইসব এলাকার বাসিন্দাদের কথা ভেবেছি।। রানিগঞ্জ এলাকা তো এক্সিডেন্ট প্রোন। প্রতি পদে পদে এখানে বিপদ। সাংবাদিকদের উদ‍্যেশ‍্যে হাতজোড়ো করে বলেন , আপনারা যখন যা খবর করবেন একটু ক্রস চেক করে নেবেন । প্রেস মিডিয়ার ও ইজ্জত আছে , সম্মান আছে । তিনি আরো বলেন , সাংবাদিক রাই আমাদের অনেক খবর দিতে পারে । ডিএম , এসপি কে খবর যেন দেয় তারা সে কথাও বলেন মুখ‍্যমন্ত্রী । যে সময়ে দাঁড়িয়ে তাঁর দলের ই সাংসদ মহুয়া মৈত্র সাংবাদিকদের " দু পয়সার প্রেস " বলে আক্রমণ করেন তখন মুখ‍্যমন্ত্রীর বক্তব‍্য সম্পূর্ণ ভিন্ন । যা নিয়ে আলোচনা সব মহলেই ।

    





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।